লেম্বুর চর, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ সর্বত্রই রয়েছে পর্যটকদের সরব উপিস্থিতি। বিজয় দিবসের ছুটিতে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণায় এখন মুখরিত কুয়াকাটা।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই এসব পর্যটকের আগমন ঘটে সৈকতের বিভিন্ন স্পটে। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাঁতার কাটাসহ সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সাথে সেফলি তুলে দিনটি উপভোগ করছেন পর্যটকরা। অনেক শিশুরা সৈকতের বালিয়াড়িতে বালু নিয়ে খেলা করছে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

হাজারো পর্যটকের উপস্থিতিতে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৯৫ শতাংশ হোটেল মোটেল। এছাড়া ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মার্কেট ও শুটকি মার্কেটসহ সব দোকানে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমনে উচ্ছসিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আগত এসব পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে মাঠে কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে পর্যটকরা ছিল উদাসীন।

দিনাজপুর থেকে সপরিবারে আসা পর্যটক সুলতান মিয়া বলেন, তিন দিনের ছুটি রয়েছে। আর এ ছুটি উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। বাচ্চাদের নিয়ে সৈকতে গাঁ ভাসিয়ে সাতার কেটেছি। বেশ মজা হয়েছে।

পর্যটক রাহিমা আক্তার বলেন, সাগরের ছোট ছোট ঢেউ সৈকতের বুকে আচড়ে পড়ছে। সাথে হিমেল হাওয়া। সৈকতের এই বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। মনটা সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে মিশে যাচ্ছে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, অনেকদিন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুয়াকাটায় পর্যটক আগমন বন্ধ ছিলো। ব্যবসায়ীরা ব্যাপ ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে আজ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে।

 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, এ মাসের প্রথম থেকেই সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে কুয়াকাটার ৯৫ ভাগ হোটেল বুকিং রয়েছে। হাজারো পর্যটকের আগমনে স্বরুপে ফিরে কুয়াকাটা।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কুয়াকাটার সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশের টিম টহল দিচ্ছে।